বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পূর্বাহ্ন
নির্দিষ্ট আদেশ রয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতিতে যেন কোনো বিচারবহির্ভূত হত্যা সংঘটিত হতে না দিই। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে এটাকে প্রতিরোধ করার।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা হয়তো যেসব ঘটনা ঘটছে, সেগুলো জানতে পারছেন। আমাদের কার্যক্রমের কারণে এ ধরনের পরিস্থিতিতে কতগুলো ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে, তা সেভাবে জনগণের সামনে আসে না।
একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল, সেখানে বলা হয়, ধর্ম অবমাননার জন্য একজনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভিডিওতে সেনা সদস্যরা একজন ব্যক্তিকে চোখে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছেন, মারধর করছেন, এমন দৃশ্য দেখা গেছে। সেই ভিডিওটি কী আপনার দেখেছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, পরিস্থিতির প্রয়োজনে অনেক কিছু করতে হয়। কিন্তু এটা সেনাবাহিনীর টার্গেট (লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে) করে কাউকে মেরেছে, এমন কোনো ঘটনা হয়নি।
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র ও গোলাবারুদ লুট উদ্ধার করা ছাড়াও এসএসএফের লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এসএসএফের ভারী অস্ত্র খোয়া যায়নি। কিছু পিস্তল খোয়া যায়। সেটার সন্ধানে কার্যক্রম চলছে। আর পুলিশের খোয়া যাওয়া বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। যেগুলো উদ্ধার হয়নি, সেগুলো উদ্ধারে কাজ চলছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী কাজ করছে, পুলিশকে সহায়তা করছে। এমন অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আদৌ উন্নতি হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে সেনা কর্মকর্তা ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, পুলিশের কাছে যেসব ডেটা আছে, সেটি দিয়ে তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই স্টাডি অনুযায়ী বর্তমানে সেনাবাহিনী মোতায়েন এবং ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়ার পরে যে পরিসংখ্যান, সেখানে আগের তুলনায় অপরাধ কমেছে। পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। তবে হয়তো প্রত্যাশা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিত উন্নতি হয়নি। সেটা যেন হয়, সেই অনুযায়ী চেষ্টা চলছে।
জামিনে মুক্ত হওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীদের বিষয়ে তিনি বলেন, যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে যে তারা আবার অপরাধে লিপ্ত হচ্ছেন, তাহলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।
কয়েক দিন আগে পুলিশের একজন সহকারী সুপারের সঙ্গে সেনাবাহিনীর একজন মেজরের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পরিষ্কার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সেদিন আসলে কী হয়েছিল, পরে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল?
এর জবাবে ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, এটা একটি ভুল-বোঝাবুঝির ঘটনা ছিল। এটা একটা আইসোলেটেড ঘটনা। পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক সার্বিকভাবে ভালো। এ ঘটনায় সংস্থার পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চাকরিচ্যুত ও পলাতক মেজর জিয়াউল হক জিয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এই মুহূর্তে সেনাবাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই। তথ্য পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি বন্যায় বিপদগ্রস্ত মানুষদের উদ্ধার, ত্রাণ বিতরণ এবং জরুরি চিকিৎসাসেবা প্রদান করেছে সেনাবাহিনী। হিন্দু ও বৌদ্ধদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন বাহিনীর সদস্যরা।